আপনি কী জানেন আশ্চর্য চাণক্য আমাদেরকে খারাপ মানুষ হয়ে উঠতে বলেছেন।তিনি আমাদেরকে কেনো খারাপ মানুষ হয়ে উঠতে বলেছেন এবং কোন কোন পরিস্থিতিতে খারাপ হয়ে ওঠাতে বলেছেন তা জানার জন্য অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
আমাদের পিতা-মাতার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিক্ষকও আমাদের সব সময় এটাই বলতে থাকেন যে একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠো,সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো এমনকি খারাপ মানুষদের সঙ্গেও কারণ আমরাও যদি খারাপ মানুষদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি তবে তাদের সঙ্গে তো আমাদের কোনই পার্থক্য থাকলো না রাইট।
তাই সবসময় সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো,সবার ভালো চিন্তা করে কিন্তু এর পাশাপাশি হয়তো আপনি এটাও শুনেছেন যে,সোজা আঙ্গুলে যদি ঘি না উঠে তাহলে আঙুলটি একটি বাঁকাতে হয়,জঙ্গললর সোজা গাছগুলি কিন্তু সবার প্রথমে কাটা হয়।
তো এখন প্রশ্ন এটাই যে আমরা কোন কথাটিকে বিশ্বাস করবো ভালো মানুষ হওয়ার না খারাপ মানুষ হওয়ার?তো ভাই এখন আমি আপনাদেরকে এটাই বলবো যে দুই পক্ষই যার যার জায়গায় একদমই ঠিক।বেশি ভালো হওয়াটা যেমম ভালো নয় আবার বেশি খারাপ হওয়াটাও ভালো নয়।
এতো বেশি ভালো হওয়া যাবেন না যাতে লোক আপনাকে গুড়ের মতো গিলে নেয় আবার এত বেশি খারাপ হবেন না যাতে লোকে আপনাকে খেতেই না পারে ঠিক নিম পাতার মতো।
অর্থাৎ ঠিক এটাই ভালো ও খারাপের মধ্যে balance করতে হবে।বেশি ভালো হতে চাইলেই লোকে এমনিতেই আপনাকে খারাপ করতে চাইবে তার থেকে তো এটাই ভালো আমরা নিজেরাই কিছুটা খারাপ হয়ে যাই।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা কখনোই অন্যদেরকে না শব্দটি বলতে পারি না।আমরা মনে করি যে না কথাটি বললে সে হয়তো আমাকে খারাপ ভেবে ফেলবে।
কেনো আমরা নিজেদের সমস্ত কাজ ফেলে অন্যদের কাজ করবো?কেনো আমরা নিজেদের ভালোর কথা না ভেবে অন্যদের ভালো করবো?যখন এতো কিছুর পরেও তাদের থেকে আমাদের এটাই শুনতে হয় তুই এরকম,তুই সেরকম,তুই কখনো আমার জন্য কখনো কিছু করিসনি।
হাজারটা কাজ করার পর যখন আপনি তার জন্য একটি কাজ করতে পারবেন না তখন তার থেকে আপনাকে এটাই শুনতে হবে তুই আমার বন্ধুই নোস,আমার এই ছোট্ট help তো করতে পারতিস।
অর্থাৎ সে আপনার করে দেওয়া হাজারটা কাজ ভুলে গিয়ে ঐ একটি না করা কাজটি মনে রেখে দিবে।দুনিয়া কিন্তু এতোটাও বেশি ভালো নয় যে আপনি এখানে ভালো মানুষ হয়ে ভালো থাকতে পারবেন।
তাই প্রথমে নিজের ভালো করুন,নিজের ভালোর কথা ভাবুন,নিজেকে এমন যোগ্য করে তুলুন যাতে আপনি অন্যদের ভালোর কথাও ভাবতে পারেন তারপরেই অন্যদের ভালোর কথা ভাবুন যখন আপনাকে বাধা দেওয়ার সাহসও কারো মধ্যে থাকবে না।
আপনি যদি নিজেকেই সম্মান না করেন,কোনো self respect আপনার মধ্যে না থাকে তবে আপনি অন্যকে কীভাবে সম্মান দিবেন?আমি আপনাদেরকে এটাই বুঝাতে চাইছি যে,কারোর জন্য এতোটাও বেশি কিছু করে ফেলবেন না যাতে তাকে সম্মান করা ও তার গোলামী করার মধ্যে কোনো পার্থক্যই না থেকে যায়।
এমনটা নয় যে আপনাকে কেউ কিছু বলেই চলেছে বলেই চলেছে আর আপনি চাকরের মতো তার সব কথা মেনে চলেছেন।এখানে আপনার নিজেকেই চিন্তা করতে হবে এবং এটা বুঝতে হবে যে কারোর চোখে বেশি ভালো হওয়া এবং কারোর চোখে খুব বেশি খারাপ হওয়া কোনোটা perfect solution নয়।
তাই সর্বদা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলাতে থাকুন।সবসময় এটা দেখুন যে সামনের মানুষটি কেমন।যদি সামনের মানুষ ভালো হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু তিনি যদি একজন খারাপ মানুষ হয়ে থাকেন তবে নিজেকে অবশ্যই তার সঙ্গে তার মতো করে মানিয়ে তুলুন।
📝রাইটারঃ-সুমাইয় জান্নাত রিয়া alert-success
📃onlinekaj.com alert-success
Post a Comment
By commenting you acknowledge acceptance of Whatisloved.com-Terms and Conditions